সুস্বাস্থের কথা চিন্তা করে আমরা কত কিছুই না করি। অনেকে এজন্য খাওয়াদাওয়াই বন্ধ করে দেয়।বয়স বাড়ার সাথে সাথে নানা রোগ শরীরে বাসা বাধে এই চিন্তা আমাদের অসুস্থতা আরও হাজারগুণ বাড়িয়ে দেয়। এই চিন্তা মাথা থেকে নামিয়ে আনার দায়িত্ব অতি পরিচিত মাশরুমের ওপর ছেড়ে দিতে পারি।
এবার জেনে নিন মাশরুমের কিছু জাদুকরী গুণের কথা।
রক্তের কোলেস্টেরল:
মাশরুম আপনাকে দেয় বিশুদ্ধ হালকা প্রোটিন কারণ এটি কোলেস্টেরল থেকে মুক্ত করে এবং এতে কার্বোহাড্রেটের পরিমাণও কম। এর ফাইবার এবং বিভিন্ন এনজাইম রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্র কমাতে সাহায্য করে
মাশরুমের প্রোটিন পরিপাকের সময় কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে।
স্তন ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার:
মাশরুম স্তন ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী কারণ এতে রয়েছে বিটা-গ্লুকাগন এবং লিনোলিক এসিড, যাদের এন্টি ক্যান্সার এক্টিভিটি রয়েছে। লিনোলিক এসিড এস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষতিকারক প্রভাব প্রশমিত করে, যা স্তন ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় কারণ। আর বিটা-গ্লুকাগন প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিহত করে। এছাড়াও মাশরুম হচ্ছে খুবই দুষ্প্রাপ্য ধাতু সেলেনিয়ামের একটি বড় উৎস,যা ক্যান্সার তৈরীতে বাধা প্রদান করে।
ডায়বেটিস:
ডাযবেটিসে মাশরুম হচ্ছে খুবই কম ক্যালরির একটি আদর্শ খাদ্য। মাশরুমে নেই কোন চর্বি ও কোলেস্টেরল, খুবই কম কার্বোহাইড্রেট, প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেলস, প্রচুর পানি এবং ফাইবার। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যপার হলো মাশরুমে রয়েছে প্রাকৃতিক ইনসুলিন এবং এনজাইম যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। মাশরুমে বিভিন্ন রাসায়নিক বস্তু রয়েছে যেগুলো লিভার, অগ্নাশয় এবং অন্যান্য গ্রন্থিকে সক্রিয় করে, যা শরীরে ইনসুলিন তৈরী এবং এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে। এছাড়াও মাশরুম বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক সমৃদ্ধ যা ডায়বেটিস রোগীদের বিভন্ন জীবাণু সংক্রমণ প্রতিহত করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
মাশরুম আরগোথায়োনিন নামক একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ফ্রি রেডিকেলস দূর করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মাশরুমে বিভিন্ন প্রকার প্রvকৃতিক এন্টিবায়োটিক রয়েছে যা জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। মাশরুমের আলসার প্রতিরোধী ভুমিকাও রয়েছে। এর ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
ওজন কমানো:
আপনি হয়তো বিশ্বাস করতে চাইবেন না মাশরুমের হালকা প্রোটিন আপনার ওজন কমিয়ে শরীরকে সুগঠিত করেতে পারে। এসব হালকা প্রোটিন পরিপাকের সময় প্রচুর পরিমাণ চর্বি ভেঙে ফেলে। তাই মাশরুম থেকে আপনি পেতে পারেন জিরো ফ্যাট ও জিরো ক্যালরির আদর্শ খাদ্য।
অন্যান্য ভূমিকা:
মাশরুম হচ্ছে একমাত্র সবজি যা সক্রিয় ভিটামিন ডি এর উৎস। এছাড়াও মাশরুমে রয়েছে ক্যালসিয়াম (হাড়ের জন্য উপকারী), আয়রন (রক্তশূণ্যতা দূর করে), পটাসিয়াম (উচ্চরক্তচাপ কমায়), কপার (এন্টিব্যাকটেরিয়াল) এবং সেলেনিয়াম (হাড়, দাত, নখ, চুলের জন্য উপকারী এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট)
মাশরুমের এরকম হাজার হাজার গুণের কথা আবিষ্কৃত হয়েছে যা লিখে শেষ করা যাবে না। এর সুফল ভোগ করতে নিজেই পরখ করে দেখুন না, আর মাশরুমকে যোগ করুন আপনার খাদ্যতালিকার অবিচ্ছেদ্য উপাদান হিসাবে। তবে একটা বিষয়ে খেয়াল রাখবেন মাশরুমের উৎসটি যেন হয় ভাল।
– অরুনাভ মৈত্র
More Stories
16 Valuable Benefits Of Apple Cider Vinegar ।।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের ১৬ রকম মূল্যবান ব্যবহার ।।
What Is Monkeypox? Causes, Symptoms And Treatment | মাঙ্কিপক্স কি? কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা।
How to prevent ovarian cysts ।
10 Home Remedies for Ovarian Cysts।