রাজ্যে ১৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেই আচার্য্য এবং উপাচার্য হিসেবে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন বঙ্গ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে রাজ্যপালের ‘তিক্ত’ সম্পর্ক। এর মধ্যেই আরও এক অস্থায়ী উপাচার্যকে নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যপালের সঙ্গে বাংলার শাসকদলের সংঘাত চলছে। এরই মধ্যে ফের বড় পদক্ষেপ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের যে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে উপাচার্যহীন, সেই সব ক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আচার্য নিজেই সেই দায়িত্ব পালন করবেন। কার্যত নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিলেন আচার্য বোস। পাশাপাশি, তিনি আরও এক জন অস্থায়ী উপাচার্যকে নিয়োগ করলেন। রাজকুমার কোঠারিকে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল। অর্থাৎ এখন রাজ্যের মোট ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য রয়েছেন।
রাজভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির যে ক’টিতে উপাচার্য পদ খালি রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের ডিগ্রি শংসাপত্র এবং অন্যান্য নথি পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাঁদের সহায়তার জন্য মাননীয় রাজ্যপাল আচার্য হিসাবে তার ক্ষমতাবলে নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিজেই সেই দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজভবনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকায় ডিগ্রির শংসাপত্র এবং অন্যান্য নথি সংগ্রহে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পড়ুয়াদের। এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল।
রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, amnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com — এই মেল আইডিতে যে কোনও সমস্যার কথা জানাতে পারবেন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি, একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। ০৩৩ ২২০০১৬৪২ নম্বরে ফোন করতে পারবেন পড়ুয়ারা। চাইলে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করতে পারবেন তাঁরা। পড়ুয়াদের সমস্যার কথা জানতে মাঝেমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল, এ কথাও জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমায় প্রশ্ন করে লাভ নেই। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু উপাচার্য নিয়োগ করেই নয়, উপাচার্য নিয়োগ না করে এক ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। অবিলম্বে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ দরকার। আমরা আইনি সহয়তার নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি।”
More Stories
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা: বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি
ইসরাইলে সর্বশেষ সংবাদ
নতুন গবেষণা আবিষ্কার করেছে অ্যান্টি-এজিংয়ের নতুন উপায়