লালন শেখ ছিলেন ?
শেখের বিরুদ্ধে চলতি বছরের শুরুর দিকে বাগতুই গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও আটজনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। একজন বিচারক এবং দুজন আইনজীবী মামলার শুনানি করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন যে শেখের শাস্তি হওয়া উচিত।
সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভাদু শেখের বোমা হামলার তদন্তভার হাতে নেয়। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্তরা ভাদু শেখের দিকে অশোধিত বোমা নিক্ষেপ করছে।
মার্চ মাসে অগ্নিসংযোগ ও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো।
অভিযুক্তকে বীরভূমের একটি অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে আনা হয়েছিল, তারপরে আদালত তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে। সূত্রের খবর, রামপুরহাটের সিবিআই ক্যাম্পের ওয়াশরুমে শেখের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
একজন সিআরপিএফ অফিসার এবং একজন কনস্টেবল মিঃ এক্সওয়াইজেডকে রক্ষা করার জন্য দায়ী ছিলেন যখন তিনি মারা যান। তাদের কোনো গাফিলতি আছে কি না তদন্ত করে দেখা হবে।
সিবিআই নয়াদিল্লিতে তার সদর দফতর থেকে রিপোর্ট খুঁজছে। একটি সূত্রের মতে, ব্যুরো কলকাতায় তার কার্যালয় থেকে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন সদর দফতরে পাঠিয়েছে।
সিবিআই তদন্ত করছে যে অভিযুক্তদের যে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে সেখানে কোনও ক্যামেরা লাগানো হয়েছে কিনা, প্রতি 48 ঘণ্টায় তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা পরীক্ষা করা হচ্ছে কিনা এবং মামলার তত্ত্বাবধানকারী বিচারক কী নির্দেশিকা অনুসরণ করেছিলেন।
রামপুরহাটে সিবিআই ক্যাম্পের বাইরে বিক্ষোভ করছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। লালন শেখের বড় বোন তার মৃত্যুর জন্য সিবিআই আধিকারিকদের জবাবদিহিতার দাবি করছেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
More Stories
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা: বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি
ইসরাইলে সর্বশেষ সংবাদ
নতুন গবেষণা আবিষ্কার করেছে অ্যান্টি-এজিংয়ের নতুন উপায়