চ্যাটজিপিটির প্রধান ওপেন এআইর কর্ণধার স্যাম অল্টম্যান বলেছেন আগামীতে চ্যাটবটের মতো সেবাগুলো বহু মানুষকে কর্মহীন করবে। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উত্থানের ফলে কর্মক্ষেত্রে মানুষ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়বে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই আশঙ্কার কথা বলেছেন।
প্রায় একদশক আগে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারণেই নাকি বিলুপ্তি ঘটতে পারে মানব সভ্যতার। কিংবদন্তি বিজ্ঞানী আর নেই। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে ক্রমেই বাড়তে থাকা এআই-এর দাপটের মধ্যে যেন বারবার প্রতিধ্বনিত হয়ে চলেছে তার সতর্কবার্তা। এরই মধ্যে এআই চাকরির বাজারে যে বড় এক ‘থ্রেট’ হয়ে উঠেছে তা নিশ্চিত। আর সেই আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা বোঝা যায় খোদ অল্টম্যানের বক্তব্য থেকে।
সাক্ষাৎকারে চ্যাটজিপিটি প্রধান দাবি করেছেন, চ্যাটজিপিটির অনেক ভালো দিক থাকলেও এর সবটাই সদর্থক নয়। তিনি জানাচ্ছেন, এখনও বহু মানুষ মনে করেন সভ্যতার কল্যাণেই কাজ করবে এই চ্যাটবট। কোনভাবেই মানুষের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ হবে না সে। কিন্তু বিষয়টা তা নয়। ‘চাকরি অবশ্যই যাবে’ একেবারে পূর্ণচ্ছেদের মতো বলছেন অল্টম্যান।
এখানেই শেষ নয়। চ্যাটজিপিটির চেয়েও শক্তিশালী চ্যাটবট যে শিগগিরি তৈরি হয়ে যেতে পারে, তাও জানিয়েছেন, ‘ওপেনএআই’-এর সিইও। আর সেটা নাকি রীতিমতো ‘চোয়াল ঝুলে যাওয়ার মতো’ কিছু হতে চলেছে।
তার মতে, সাধারণ মানুষ এই ধাক্কা সামলাতে প্রস্তুত নয়। সেই সব অত্যাধুনিক এআই-এর কল্পনাও নাকি ‘অস্বস্তিকর’। ভবিষ্যতের পৃথিবীতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই বেঁচে থাকবে মানুষ ও এআই। পরিষ্কার ভবিষ্যদ্বাণী অল্টম্যানের। ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এহেন আশঙ্কা বরাবরই ছিল। এবার সেটাই আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল অল্টম্যানের দাবি ঘিরে।
More Stories
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা: বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি
ইসরাইলে সর্বশেষ সংবাদ
নতুন গবেষণা আবিষ্কার করেছে অ্যান্টি-এজিংয়ের নতুন উপায়