এই ট্রেন শব্দের গতিবেগ এর চেয়েও দ্রুত গতিতে চলবে। আপনার আমার চিন্তাধারার অনেক উপরে এই ট্রেন কাজ করবে ।ট্রেনটি হল হাইপার লুক ।এটি হলো এমন একটি ট্রেন যার গতিবেগ 1000 কিলোমিটার উপরে। প্রতি ঘন্টায় পৃথিবীতে এই ট্রেনটি সবচেয়ে দ্রুততম গতিতে চলা ট্রেন হিসেবে পরিগণিত হবে। আর এখন এই ট্রেন ভারতবর্ষে চালু হবে। এই ট্রেনের গতিবেগ বুলেট ট্রেন এবং উড়োজাহাজের চাইতে গতিবেগ বেশি হবে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার জন্য কাজ করছে ভার্জিন হাইপারলুপ কোম্পানি নামক একটি সংস্থা। হাইপারলুপ ট্রেনটির গতিবেগ ঘন্টায় এক হাজার কিলোমিটার। এই ট্রেনে বসে দিল্লি থেকে মুম্বাই মাত্র এক ঘন্টা 22 মিনিট পৌঁছানো যাবে দিল্লি। থেকে মুম্বাই প্রায় 1,153 কিলোমিটার দূরত্ব 1 ঘন্টা 22 মিনিট অতিক্রম করা যাবে। এবং মুম্বাই থেকে পুনে মাত্র কুড়ি থেকে 25 মিনিট অতিক্রম করা যাবে।
এখন বোম্বাই থেকে পুনে 150 কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই দূরত্ব অতিক্রম করতে বর্তমানে সময় লাগে তিন থেকে চার ঘণ্টা কিন্তু এই ট্রেন চালু হলে সেটা লাগবে মাত্র কুড়ি থেকে 25 মিনিট।
ধ এটার মানে এই ট্রেনটি হাওয়ায় ভেসে চলবে এই ট্রেনটিতে যে টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে সেটি হল দুনিয়ার সবচাইতে অ্যাডভান্স টেকনোলজি।
এতে ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যবহার করা হয় ।
এই ট্রেনটি চলবে কতগুলি পিলারের উপর অবস্থিত একটি টিউব এর মধ্যে এবং তার মধ্যে ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সাহায্যে ট্রেন চলাচল করবে।
আসুন একটু বিস্তারিতভাবে জেনে নি টিউবের মধ্যে যে লাইন থাকে তাতে নেগেটিভ কারেন্ট ফ্ল হবে এবং আর্মেচার এ পজেটিভ কারেন্ট প্রবাহিত হবে এবং এতে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হবে এবং এতে টিউবের এয়ার ফিউজিং সিস্টেম তৈরি হবে এবং ট্রেনটি লাইনের থেকে একটু উপরে চলবে।
এই ট্রেনটি এক কথায় বলা যেতে পারে উড়ন্ত ট্রেন।
দুনিয়াতে থাকা সমস্ত ট্রেনের থেকে এই ট্রেন দেখতে আলাদা হবে আসলে। হাইপারলুপ ট্রেনে কোন বগী থাকবে না ।
একটা ক্যাপ্সুল থাকবে রকেটের মত ।
ক্যাপসুলের লম্বা 16 ফুট হবে এবং এই ক্যাপসুল টি চালানোর জন্য একটি টিউব তৈরি করা হবে।
এবং প্রত্যেকটি টিউব কে ধরে রাখার জন্য 45 থেকে 90 ফুট এর মধ্যে একটি পিলার তৈরি হবে। এবং টিউবটি হবে বায়ু নিরুদ্ধ এবং ট্রেনটি সলার এনেরজি দাঁড়া পরিচালিত।
হবে এই ট্রেন সম্পর্কে সমস্ত কিছু শুনলেন এবার বলে নি এই ট্রেনে যারা চাপবেন তাদের অনুভুতি কেমন হবে কখনো আপনি কি রোলার কোস্টারে চেপেছেন তাহলে বলে নি রোলার কোস্টারে চাপলে যেমন অনুভূতি হয় তেমনি অনুভূতি এখানে হবে প্রত্যেক যাত্রীর।
একবারে যাত্রায় চার থেকে ছয় জন এই ক্যাপসুলে যাতায়াত করতে পারবে।
এবং এই দুরন্ত গতির জন্য প্রত্যেক যাত্রীর উপর জিফোর্স প্রভাব পড়বে।
প্রত্যেক যাত্রী তার সঙ্গে কিছু লগেজ নিয়ে যেতে পারবে।
এরপরে শুনে নিন এই ট্রেনে যাত্রীর সুরক্ষা এক্সিডেন্ট পুফ হবে ।
এই হাইপারলুপ ট্রেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর উপর কোন প্রভাব ফেলবে না।
টিউবের মধ্যে গরম এবং ঠান্ডা এই 2 টি জিনিসের মধ্যে সমানুতা রাখার জন্য সুব্যবস্থা থাকবে। ট্রেনের ক্যাপসুল টি অ্যালমনিয়ামের তৈরি হবে। 2025 এর মধ্যে কোম্পানি এইটেন বানিয়ে ফেলবে এবং সেফটি সার্টিফিকেট পেয়ে গেলে এবং সমস্ত ঠিকঠাক থাকলে 2030 এর মধ্যে এই ট্রেন বাজারে চালু করা হবে। এবং পৃথিবীর সবচাইতে প্রথম হাইপারলুপ ট্রেন আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন পর্যন্ত চালু হবে ।
ক্যানাডার ট্রান্সপোর্ট এবং স্পেন তারাও এই প্রজেক্টে কাজ শুরু করে দিয়েছে। ভারতে এই ট্রেন কয়েকটি রুটে চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে ।এর মধ্যে থাকছে মুম্বাই টু পুনে।
ব্যাঙ্গালোর সিটি থেকে ব্যাঙ্গালোর এয়ারপোর্ট। অমৃতসর থেকে চন্ডিগড় ।এবং ভোপাল থেকে ইন্দর জব্বলপুর রুটে ট্রেন চলবে। এই দিন বেশি দূর নয় যখন ঘন্টার যাত্রা মিনিটে পূর্ণ করা যাবে ।আমেরিকা ও ইউরোপের সাথে সাথে ভারতে এই ট্রেন চলতে দেখা যাবে আর ভারতে যদি এই ট্রেন চলে তাহলে রুজি রোজগারের ব্যবস্থা বাড়বে।
More Stories
ভারতে 5G পরিষেবা চালু || 5G service launched in India || Latest Update In India
5G নেটওয়ার্ক কী? (What is 5G Network)
পেগাসাস কি ? সাধারণ মানুষের ওপর এর প্রভাব কি কি ? Pegasus news